Monday, May 24, 2021

সফলতার পথে অন্তরায়সমূহ


সফলতার পথে বহুবিধ অন্তরায় থাকে। কোনোরূপ সমস্যা অতিক্রম করা ছাড়াই স্বপ্নের মতো করে সফল হয়েছেন এমন মানুষ কেউ নেই। কেউ কেউ বুদ্ধিমত্তা, সাহস ও কৌশল দিয়ে সেসব অন্তরায় অতিক্রম করেই সফল হন আর কেউ কেউ এসব সমস্যার কাছেই হেরে গিয়ে আর সফল হতে পারেন না। তাই সেরূপ কিছু অন্তরার এর প্রকৃতি ও তা অতিক্রম করার কিছু সম্ভাব্য পন্থা-পদ্ধতি নিম্নে বিশ্লেষণ করা হলো।

১. প্রতিবন্ধকতা : সফলতার পথে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারে, এটি একদম স্বাভাবিক বিষয়। এর মধ্যে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকে মেজর এবং কিছু মাইনর। মেজর অবস্ট্রাকলগুলো দূর করা কঠিন। এজন্য প্রয়োজনে নিজের স্বপ্ন, প্যাশন কিংবা সাধকে পরিবর্তন কিংবা ডাইভার্ট করতে হয়। যেমন- আমি বেশ ভালো অভিনয় করতে পারলেও চিত্রনাট্যের প্রধান চরিত্র হওয়ার মতো শারীরিক ফিটনেস না থাকায় অভিনয় পেশায় যেতে পারি না; আর বংশগত হরমোনাল সমস্যা থাকায় কোনোদিন ক্রিড়াজগতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিনি। এজন্য আমাকে ইয়ুথ আইডল হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য লেখালেখি এবং অন্যান্য সামাজিক কাজ করার মতো একটি দীর্ঘ পথে এগোতে হয়।
প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি ব্যক্তিক (দৈহিক, মেধা-বুদ্ধিগত, আর্থিক), পারিবারিক, সামাজিক ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। তাই প্রবল ইচ্ছা থাকলে এবং সেই সুযোগ থাকলে প্যারা-অলিম্পিকে খেলার মতো প্রবল ইচ্ছা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ নয়তো সেরূপ কোনো স্কোপ না থাকলে নিজের ইচ্ছা ও স্বপ্নকে ডাইভার্ট করে তা পূরণে চেষ্টা করতে হবে।

২. দূর্ঘটনা : দূর্ঘটনা হলো কারো স্বপ্ন থেকে কোনোকিছু হারিয়ে যাওয়ার উছিলা। এই বিষয়টিকে খুব কমই এড়িয়ে বাঁচা যায়। ২০১১ সালে আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন রংপুর শহরে বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের দুটি হাই-পাওয়ারের ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যায়। সেগুলো প্রতিস্থাপন হবে হবে করে দেড়মাসের মতো সময় লেগেছিল। চীন থেকে সেগুলো আনতে হয়েছিল। এই দেড়মাস বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের যে সাময়িক বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাতে ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকট পড়েছিল রংপুর শহরে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ থাকে ৬ ঘণ্টা। এই ৬ ঘণ্টা আবার একটানা ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো না। একঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এসে ১৫ মিনিট থেকে চলে যায়, আবার দুই ঘণ্টা পর এসে ২০ মিনিট থেকে চলে যায়। এভাবে চলতে থাকে। ফলে বিল্ডিং মেসগুলোতে চার্জারে চার্জ দিয়ে রুমে পড়াশুনা করাটাও সম্ভব ছিল না, কারণ চার্জার লাইট চার্জ হতে যে সময়টুকু লাগে সেই সময়টাও বিদ্যুৎ থাকতো না। ফলে দিনের যে সময়টুকুতে জানালার পাশে পড়াশুনা করার মতো আলো পেতাম সেটুকু সময় পড়াশুনা করতাম। এভাবে পড়াশুনা করে আমি কোচিংয়ের সব শিট কাভার করেছিলাম এবং বাংলা বোর্ডবই পুরোটা এবং English for Today (For Classes XI-XII) এর এক তৃতীয়াংশ পড়া শেষ করতে পেরেছিলাম। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে সে বছর English এর সেই ১২ টা শিট হতে মাত্র ২ টা প্রশ্ন কমন এসেছিল আর English for Today হতে পড়ার লাইন থেকে হুবহু ১২ টি প্রশ্ন কমন এসেছিল। কিন্তু আমি এখানে সিস্টেম লসে পড়ে যাই; শিট হতে আসা সেই ২ টা প্রশ্ন আমি আগে থেকেই পারতাম। কিন্তু ইংলিশ বোর্ডবই অংশিক পড়া শেষ করায় সেই বইয়ের ৬ টিরও বেশি প্রশ্ন আমার হাতছাড়া হয়ে যায়। অথচ আর ২ টা প্রশ্নের উত্তর করতে পারলেই সেবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার চাঞ্চ হতো। হয়তো ভাবতে পারো যে তাহলে এইচএসসি এর জন্য English বোর্ডবই কী পড়া পড়েছিলেন? আসলে এটা তোমরা ভালো করেই জানো যে বোর্ড পরীক্ষার জন্য ইংরেজি প্রথম পত্র বইয়ের শুধু প্যাসেজগুলো তথা Seen Comprehension গুলো পড়া হয়; আর অ্যাডমিশন এর জন্য পুরো বই এর সব শব্দার্থ, গ্রামার্টিক্যাল প্যাটার্ন, অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রিপজিশন, ফ্রেইজ অ্যান্ড ইডিয়মস মেনিং ইত্যাদি তথা অলিগলি সবকিছু পড়ে মাথায় রাখতে হয়। আর সেবার আমি এটা করতে পরিনি উপরোক্ত দূর্ঘটনাটির কারণে অধিকন্তু আমার ভুল ছিল প্রিফারেন্স সেটিংয়ে, বোর্ডবইকে গুরুত্ব দিয়ে সেটা আগে কাভার করা দরকার ছিল কিন্তু আমি আগে কাভার করেছিল কোচিংয়ের ফালতু শিটগুলো।
২০১২ সালে সেকেন্ড টাইমে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার দিনে আমার আমাশয়ের/ গ্যাস্ট্রিকের পেটব্যথা শুরু হলো। পেট চেপে ধরে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম, তবুও ইংরেজিতে ৩০ এর মধ্যে ২০.১০ পেয়েছিলাম; কিন্তু পেটব্যথায় ইংরেজিতে বেশি সময় চলে যাওয়াতে বাংলা ও সাধারণ জ্ঞানে এসে সময় শর্ট হয়, বেশি ভার্সিটিতে ফরমও তুলি নাই, আর যেসব তুলছি সেই টাইপের প্রিপারেশন নাই; ফলে টেনশনে তখন আমার শর্ট টাইম মেমোরি লসিং ও হ্যালোজিনেশন নামক দুইটি ব্রেইনের সমস্যা হয়। ফলে বাংলা ও সাধারণ জ্ঞানের জানা উত্তর গুলোও ভুলে যাই এবং কিছু পড়া জিনিসের উত্তর দাঁগাতে ভুল করি। ফলে সিরিয়াল এবারও পিছিয়ে গিয়ে ঢাবির স্বপ্ন হাওয়া হয়ে যায়।
দূর্ঘটনা জিনিসটার কোনো ব্যাখ্যা হয় না এবং এটা মেনে না নেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও থাকে না। তাই দূর্ঘটনাকে যত দ্রুত মেনে নিয়ে নিজেকে শক্ত করে পূনরায় সফলতার সংগ্রামে জন্য শক্ত করে নেওয়া যায় তত ভালো। তবে সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করে কিছু কিছু দূর্ঘটনার এড়ানো যায়। যেমন— আমি ২০১১ সালের সেই অ্যাডমিন প্রস্তুতিতে যে প্রিফারেন্স সেটিং করেছিলাম সেটা ছিল একটা নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। তেমনি আমি ২০১২ সালের ভর্তি পরীক্ষার দিনে সকালবেলা খাবারের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করলে সেই পেট ব্যথার দূর্ঘটনার ও তা থেকে সৃষ্টি হওয়া মানসিক চাপের ফলে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনা এসব হয়তো এড়াতে পারতাম ও স্বপ্ন ছুঁতে পারতাম।
দূর্ঘটনা বিষয়টির কিছু কিছু ক্ষেত্রে দূর্ঘটনা এড়ানোর জন্য একটা ভালো পরামর্শ হলো 'স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস' থেকে লাইফের বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা বিষয়ক শিক্ষা নিতে পারো।

৩. দূর্ভাগ্য : কোনো নির্দিষ্ট কাজে সফল হতে না পারার অন্যতম একটি কারণ হলো দূর্ভাগ্য। ভাগ্য বলে যে একটা জিনিস আছে এটা অবিশ্বাস করার উপায় নেই এবং দূর্ভাগ্য বলে যে কিছু আছে এটাও সত্য। ভাগ্য জিনিসটা মানুষের সাথে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের মতো সেট করা থাকে আর মানুষের এই অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনের সুযোগ থাকে না, সেই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে এর সাথে সুইটেবল বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ থাকে। দূর্ভাগ্যকে নেতিবাচক হিসেবে না নিয়ে এর মাঝেও ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাওয়া সম্ভব। কারণ একজন মানুষ সবক্ষেত্রেই দূর্ভাগা হয় না, প্রভু একজন মানুষকে সবদিক দিয়ে ঠকান না। কাউকে হয়তো বিদ্যা-সম্মান দেননি কিন্তু ধনসম্পদ দিয়েছেন, কাউকে ধনসম্পদ দিয়েছেন কিন্তু বিদ্যা-সম্মান দেননি, কাউকে এ দুটোর কোনোটিই দেননি কিন্তু সুস্থস্বাস্থ্য ও মানসিক সন্তুষ্টি তথা আত্মতুষ্টি দিয়েছেন। কাউকে এ দুটোই দিয়েছেন কিন্তু পারিবারিক কিছু সৌহার্দ্যের অভাব কিংবা অসুস্থ স্বাস্থ্য দিয়েছেন, কারও জীবনে আবার অন্যসবকিছু কম দিলেও পারিবারিক সৌহার্দ্য একদম ঢেলে দিয়ে তা দুহাত ভরে দিয়েছেন। এভাবে পেশাগত জীবনেও দেখা যায় প্রভু কাউকে একটা কাজে সফলতা দেননি কিন্তু সে অন্য কাজে হাত দেওয়ায় তার সেই পেশায় সফলতা দিয়েছেন। একারণেই 'শাপে বর' বাগধারাটির উৎপত্তি হয়েছে। তাই দূর্ভাগ্য মানে যে একজন মানুষ লাইফের সবক্ষেত্রেই ব্যর্থ হবে, কোনোকিছুতেই সফল হতে পারবে না এমনটি নয়। দূর্ভাগ্য জিনিসটা মানুষের নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপরে সীমাবদ্ধ থাকে, লাইফের সবক্ষেত্রেই নয়। তাই কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে সফল হতে না পারলে উন্নতি করার আরও বিকল্প যেসব পন্থা থাকে সেসব ট্রাই করা উঠিৎ, কোনো না কোনো একটিতে সফলতা আসবেই। কারণ প্রভু সবাইকে সবকিছু দেন না আবার কাউকে সবদিক দিয়েও ঠকান না। কিছু না কিছু একজনের জন্য বরাদ্দ করা আছেই, শুধু সেটা খুঁজে নিতে হবে।

৪. প্রতিকূল পরিবেশ : প্রতিকূল পরিবেশ জিনিসটি স্থান-কাল-পাত্র ভেদে বৈচিত্র্যময় হয়ে থাকে। কিছু প্রতিকূল পরিবেশ স্থানগত পরিবেশের কারণে হয়ে থাকে, কিছু প্রতিকূল পরিবেশ সময়-কাল এর প্রকৃতির কারণে সৃষ্টি হয় আবার কিছু প্রতিকূল পরিবেশ আশেপাশের ব্যক্তিদের প্রকৃতির জন্য সৃষ্টি হয়। এই প্রতিকূল পরিবেশ এর বিষয়টি বহুবিধ বৈচিত্র্যময় যার প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করে একটি বই লেখা সম্ভব। তাই সেসব আলোচনায় না গিয়ে এক্ষেত্রে একটি ভালো সমাধান হলো লাইফ একাডেমির 'অ্যাডভাইস ডেস্ক' এক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিবেশের ধরণ বিশ্লেষণ করে তা হতে উত্তোরণের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে। চাইলে লাইফ একাডেমির 'অ্যাডভাইস ডেস্ক' হতে সেই পরামর্শ সেবা নিতে পারো।

৫. ভাইরাস : ভাইরাস মানে হলো কুলুপবাজ আত্নীয়। একটা কথা অপ্রিয় হলেও এবং শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য যে, আত্মীয়স্বজন মহলে দু'একজন ভাইরাস লোক থাকে। এরা হলো প্রতিহিংসাপরায়ন। স্বজনদের মধ্যে কারও ভালো কিছু হতে দেখলে এদের হিংসে হয়, এরা সেটা সহ্য করতে পারে না; এরা মনে করে অন্যরা কেনো ভালো কিছু করবে! ভালো সবকিছু শুধু আমি এবং আমার সন্তানেরা করবে। এই হিংসা থেকে তারা শুধু সুযোগ খুঁজতে থাকে কখন ভাইবোনদের মাঝে কারও সন্তান কোনো কাজে ব্যর্থ হয় এবং ভাইকে/ বোনকে ভুলিয়ে ভালিয়ে এটা বোঝানো যায় যে, তার সেই সন্তানের পেছনে অর্থ ব্যয় করাটা অহেতুক ও এতে সে কোনো লাভ পাবে না। এভাবে ভাইয়ের/ বোনের সম্ভাবনাময় সন্তানের পেছনে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়ে কৌশলে নিজের হীনস্বার্থ হাসিল করাই এদের কাজ।
লাইফে এসব ভাইরাস লোক থেকে বেঁচে থাকা খুবই দুষ্কর; তবে চাইলে এদের প্রভাব থেকে কিছুটা নিস্তার পাওয়া সম্ভব। সেজন্য পরিবারের সাথে সবসময় ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে এবং নিজের প্রয়োজনগুলো যে কোনোভাবেই সম্পূর্ণ করে নিয়ে লাইফে সবক্ষেত্রে সফলতার কন্টিউনিটি ধরে রাখতে হবে, ভাইরাসগুলোকে সেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। আর কীভাবে পরিবারকে মোটিভেট করে নিজের অবস্থান নিরাপদ রাখবে সে বিষয়ে রক্তের সম্পর্কের বাহিরের যেসব ভালো মানসিকতার সিনিয়র ভাইদের পাবে তাদের পরামর্শ নিয়ে সেই মাফিক কাজ করলে সফল হবে। আমার গ্রামের এক ছেলেকে আমি এই কৌশল প্রয়োগ করে পরিবারের সবাইকে তার আয়ত্বে রাখতে দেখেছি।

এভাবে কখনও সচেতন হয়ে, কখনও নিজেকে শুধরে নিয়ে, কখনও কৌশল উন্নত করে, কখনও প্রাক-চিন্তন শক্তি ব্যবহার করে এবং কখনও বিজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করে ও সেইসঙ্গে অধ্যবসায়ী হয়ে সফলতার জন্য লেগে থাকতে হবে। যে সাফল্য ধীরে আসে সেই সাফল্যের ভিত্তি মজবুত হয় এবং তা স্থায়ী হয়। ২০০০ সালের আগে জন্ম নেওয়া গ্রামের ছেলেমেয়েরা হয়তো একটা বিষয় দেখেছেন তা হলো গ্রামাঞ্চলে যখন মাটির ঘর তৈরি করা হতো তখন ইটের ঘর তৈরির ১ ইট একক গাঁথার মতো মাটির ঘরের এক স্তর গাঁথুনিকে বলা হতো ১ বাট। এই ১ বাট হতো ১০ ইঞ্চি পরিমাণ উঁচু একটি মাটির গাঁথুনি। এই একটি বাট দেওয়ার পর তা পুরোপুরিভাবে শুকিয়ে শক্ত ও মজবুত হলে তার উপরে আরেকটি বাট তোলা হতো, সেটিও শুকিয়ে ভালোমতো শক্ত হলে তার উপরে আরেকটি বাট তোলা হতো। এভাবে মাটির ঘর তৈরি করা হতো।
কেউ যদি দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকমতো বাট শক্ত না হতেই তার উপরে আরেকটি বাট তুলতো ও এভাবে দ্রুত ঘর তৈরি শেষ করতো তাহলে সেই ঘর মোটেও মজবুত হতো না এবং সামান্য বৃষ্টি হলেও সেই বৃষ্টির পানি দেয়ালে লেগেই ঘর ভেঙে পড়তো।
এরূপই হঠাৎ করে আসা সাফল্যের ভিত্তি ঠুনকো হয়। ধীরগতিতে আসা সাফল্য স্থায়ী হয়। তাই জীবনে সাফল্য আসতে দেরি হলে তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, বরং এতে তোমার আগামীতে আসা সাফল্যের শক্ত ভিত্তি রচিত হচ্ছে এটা বুঝবে।

*> টুলস→
'স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস' এবং 'Advice Desk' এর অ্যাপস পেতে 01746315639 এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে 'স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস/ Advice Desk অ্যাপ চাই' লিখে মেসেজ করো কিংবা লাইফ একাডেমির ফেসবুক পেজে মেসেজ করেও অ্যাপসগুলো পেতে পারো। লাইফ একাডেমির ফেসবুক পেজে যেতে এখানে—ক্লিক—করো কিংবা ভিজিট করো http://facebook.com/lifeacademy.ac.bd এই লিংকটি।